Wednesday, December 19, 2012

জাতীয় নগ্ন দিবস ১




(এটি কোন গলপো নয়। পুরোপুরি কাল্পনিক একটি ব্যাপার। অনেক লেখক সমুদ্র তলে ভেসে বেড়াবার কিংবা আকাশে উড়ার কাহিনি লিখে গেছেন। পরবর্তীতে অনেকে তা বাস্তবায়নও করেছেন। আমার এই কাহিনি কখনো বাস্তবায়ন হবার সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র পাঠক বিনোদনের জন্যেই। সংগত কারনে ইনসেষ্ট সহ, অনেক সামাজিক নোংড়ামি ব্যাপার থাকলেও থাকতে পারে। যাদের কাছে অরূচিকর কিংবা অসংলগ্ন মনে হবে, দোহাই কখনোই এই লেখা পড়বেন না।)

পৃথিবীতে অনেক মানুষেরই সফলতার পেছনে নাকি, নারীরই অবদান থাকে। বড় বড় বিজ্ঞানী সহ রাজনৈতিক নেতা কিংবা সাহিত্যকদের জীবন কাহিনি ঘাটলে, তেমন কিছু সূত্র পাবারই কথা। অনেকেই আড়ালে বলে থাকে, সিকদার অনির সফলতার পেছনেও নাকি তেমনি এক নারীর অবদান রয়েছে। তবে, সেই নারীটি যদি সিকদার অনির বউ কিংবা অন্য কোন আপনজন হতো, তাহলে বোধ হয় কোন সমস্যা থাকতো না। সমস্যা হলো, সেই নারী মানবীটি একজন সাধারন গৃহবধু। অন্য একজনের বউ! গৃহবধুটির নাম রুনু। যার স্বামী বরাবরই বিদেশে থাকে। একটি মেয়েও ছিলো। মেয়েটিও বিয়ের পর স্বামীর সাথে বিদেশে থাকে।
অনেকে অনেক পরকিয়া প্রেমের গলপো জানে। সিকদার অনিকে জড়িয়েও সেই ধরনের কোন স্ক্যান্ডালও নেই। সবাই জানে, রুনুর স্বামী বিদেশে থাকে বলেই কেয়ার টেইকার অথবা বডি গার্ড হিসেবে এই কাজটি বেছে নিয়েছে। কারো কারো এই গৃহবধুটির সাথে সিকদার অনির পরকিয়া প্রেমের কথা জানাজানি থাকলেও, কেউ কখনো তাদের সামনে মুখ ফুটিয়ে বলে না। কেনোনা, কারো কাছে তেমন কোন প্রমাণ জাতীয় ব্যাপারগুলো নেই। কারন, বাইরে থেকে সিকদার অনি আর সেই গৃহবধুটি একে অপরের কেয়ার টেইকার বলেই মনে হয়ে থাকে। দুজনেই গম্ভীর, এবং সব সময় একটা ভাব নিয়েই থাকে।
রুনু সুন্দরি বলে বয়স ঠিক বুঝা যায়না। তবে, এটা স্পষ্ট বুঝা যায়, রুনুর চাইতে সিকদার অনির বয়স অনেক কম। পাশাপাশি হাঁটলে বড় বোনের সাথে একটি ছোট ভাই হাঁটছে বলেই মনে হয়। তাছাড়া, এমন এক রূপসী মহিলার স্বামী যদি বিদেশেই থাকে, সিকদার অনির মতো সুঠাম দেহের একজন বঢি গার্ড কিংবা কেয়ার টেইকার থাকাটা অস্বাভাবিক কিছুনা। তবে, রাতের অন্ধকারে কিংবা ঘরের ভেতর কে কি করলো, তার খবর কেই বা কেমন করে নেবে। কারো ব্যক্তি জীবনের স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার তো কারোরই নেই। তারা যদি এমন করেই সুখে থাকতে পারে, তাহলে তো সামাজিক ভাবেই মঙ্গল!
সিকদার অনি আগে একটা সাধারন কোম্পানীতে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতো। অনেকেই কানাঘুষা করে, তিন বছরের মাথাতেই প্রেম ব্যর্থতার কারনেই নাকি, সেই চাকুরীটাও ছেড়ে দিয়েছিলো। তারপর, নুতন কোন চাকুরীর সন্ধান করেছে বলে, কারোরই মনে হয়না। আর রাতারাতি, সেই গৃহবধুটির কেয়ার টেকার হবার ব্যাপারটিও যেমনি সন্দেহজনক ছিলো, ছয় মাসের ভেতর সংসদ সদস্য হবার ব্যাপারটিও আরো সন্দেহজনক হয়ে দাঁড়ালো। সবারই ধারনা, সেই গৃহবধু রুনুর স্বামীর বিদেশী আয় পুরুটাই সিকদার অনির দখলে। তবে, মেজাজী প্রকৃতির সিকদার অনির মুখের উপর যেমনি কেউ এই কথা বলতে পারেনা, ঠিক তেমনি মেজাজী মহিলা রুনুও এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পাত্তা দেয়না।
সিকদার অনি কোন রাজনৈতিক দলের ব্যনারে নির্বাচন করেনি। নির্বাচন করেছে স্বতন্ত্র্য প্রার্থী হিসেবে। তারপরও বিপুল ভোটে বিজয়ের ব্যাপারটিও সন্দেহজনক। তবে, আড়ি পাতলেই শুনা যায়, সিকদার অনি নাকি একটা সময়ে চটি লেখক ছিলো। যদিও বাজারে তার লেখা কোন বই খোঁজে পাওয়া যায়না, ইন্টারনেটে খোঁজলে কদাচিতই চোখে পরে। সেই হিসেবে ইন্টারনেটে তার প্রচুর ভক্ত রয়েছে। তাই, সবারই ধারনা, সেসব যৌন পাগলা ভক্তদের সমর্থনেই নাকি সে নির্বাচন করেছে! আর তাদের সহযোগিতা আর প্রচারের কারনেই নাকি, ভোটেও জিতেছে। ব্যাপারটা পরিস্কার হলো প্রথম সংসদ অধিবেসনেই।
সংসদ সদস্য হিসেবে, অনেকেই অনেক বিল উথ্থাপন করলো। সেই হিসেবে সিকদার অনিরও কোন না কোন বিল উথ্থাপন করার অধিকার আছে। আর সিকদার অনির যৌন পাগলা ভক্তদের অনেক মেনোফেষ্টোর মাঝে একটি হলো, নগ্নতাকেও জাতীয় ময্যাদা দিতে হবে! তাই সিকদার অনি পার্লামেন্ট বুথে দাঁড়িয়ে ঘোষনা করলো, প্রতি বছর অন্যান্য দিবসের মাঝে জাতীয় নগ্ন দিবসটিও থাকতে হবে! নইলে সারাদেশে হরতাল চলবে! কল কারখানা সব বন্ধ থাকবে! গাড়ী চলবেনা, বিদ্যুৎ থাকবেনা, পানি থাকবে না। আমার যৌন পাগলা সমর্থকরা একবার ক্ষেপে গেলে, সারা দেশের মানুষকে রুটিতে মারবে, ভাতে মারবে, পানিতে মারবে, এমন কি সামাজিক যৌন অপরাধ বাড়িয়ে দেশটার শান্তিও বিনষ্ট করে দেবে! তাই, আমার এই বিলটি অনুমোদন করার জন্যে, মহামান্য চিফ হুইপের কাছে সবিনয় আবেদন জানাচ্ছি।
সিকদার অনির এমন একটি ঘোষনার পর, শুধু সংসদেই নয়, সারা দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলো। ধর্মীয় গোষ্ঠি সহ সৃজনশীল গোষ্ঠি গুলো যেমনি প্রতিবাদ সহ, সিকদার অনির মৃত্যুদন্ড পয্যন্ত দাবী করলো, সিকদার অনির সমর্থকরাও রাতারাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পরলো। মিছিল, পাল্টা মিছিল, মিটিং, পাল্টা মিটিং! কেউ যেনো কোন অংশে কম নয়।
সংসদ ভবন থেকে বেড়িয়ে, সিকদার অনি তার সাদা মডার্ন টয়োটা গাড়ীটা নিজেই ড্রাইভ করে, রুনু ভবনে পৌছে দেখলো, সেখানেও সমাবেশ, পাল্টা সমাবেশ। তবে, তথা কথিত সিকদার অনির পরকিয়া প্রেমিকাকে সযত্নে সারা বাড়ী ঘিরে পাহাড়া দিয়ে রেখেছে, তারই যৌন পাগলা সমর্থকেরা। এমন কি তার গাড়ীটাও যেনো কোন রকমের ভাংচুর না হয়, তেমনি সশস্ত্র পাহাড়াতেই বাড়ীর ভেতর ঢুকার জন্যেও সহায়তা করলো।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ সহ সবাই যেনো হতবাকই হলো। সবাই অনুমান করে নিলো, এই দাবী মানা ছাড়া কোন উপায় নেই। নইলে সারা দেশে নুতন এক বিশৃংখলারই সৃ্ষ্টি হবে।
সংসদে বিশেষ বৈঠক সহ, বিভিন্ন আইনজীবি, মনস্তাত্বিক সমাবেশ ঘটিয়ে, সিকদার অনিকে পাগল বলে ঘোষনা করে বন্দী করারই আইন পাশ করলো। এতে করে হিতে বিপরীতই হলো। সারা দেশের যৌন পাগলা মানুষগুলোও কম কিসে? সাথে সাথে বিক্ষোভ মিছিল বেড় হলো, পুরু দেশের আনাচে কানাচে। মিডিয়াগুলোও অন্য সংবাদ বাদ দিয়ে এসব সংবাদই শুধু প্রচার করতে থাকলো। শুধু তাই নয়, যৌন পাগলা সম্প্রদায় লাগাতার হরতালও ঘোষনা দিয়ে দিলো সিকদার অনির কোন অনুমতি ছাড়াই। কেনোনা দাবীটা তাদেরই। সিকদার অনি শুধু তাদের হয়ে সংসদে বিল উথ্থাপন করেছে! আর তাই শুধু একটাই মিছিল, সিকদার অনির কিছু হলে, সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে!
আবারো, সংসদে বিশেষ মিটিং শুরু হলো। অবশেষে, পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে, সিকদার অনির অগনিত ভক্তদের দুর্বার অন্দোলনে, সংসদে বিলটি পাশ হলো। সিদ্ধান্ত হলো, প্রতি বছর ২৯শে এপ্রিল জাতীয় নগ্ন দিবস। এই দিনটিতে, দেশের সবাইকে নগ্ন দেহেই থাকতে হবে। কারো গায়ে কোন সূতোর চিহ্নও থাকতে পারবেনা। এই নিয়মের বাইরে গেলে, তার বিরূদ্ধেই আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমন একটি বিল পাশ হবার পর সারা দেশে আবারও এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলো। উঠতি বয়সের ছেলেদের মাঝে যেমনি আনন্দের ঢল নামলো, মেয়েদের মনেও তেমনি নানান জল্পনা কল্পনা শুরু হলো। নগ্ন দিবসে কি সত্যিই নগ্ন থাকতে হবে নাকি? ঘরের বাইরে গেলেও কি নগ্ন দেহে যেতে হবে নাকি? স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, ঐদিন কি খোলা থাকবে, নাকি বন্ধ থাকবে?
সেসব জল্পনা কল্পনারও অবসান হলো। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, সাধারন নিয়মেই চলবে। তবে, বিশেষ দিন হিসেবে, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ, বিশেষ কিছু কায্যক্রম সেদিনটিতে রাখা যেতে পারে।
আবারো পত্র পত্রিকা সহ সারা দেশে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেলো। মেয়েদের মনে একটাই প্রশ্ন! ঘরে, বাথরুমে ন্যংটু হতেই লজ্জা করে, আর সেখানে ঘরের বাইরে ন্যাংটু হয়ে? এ কি করে সম্ভব! লজ্জা শরমের একটা ব্যাপার আছে না? এমন একটা নীতি মালার কোন মানে হয় না! তবে ছেলেদের মনে একটাই স্বপ্ন! আহা! সেই দিনটা কবে আসবে!
২০০১০ সাল। ২৮শে এপ্রিল।
দৈনিক পত্রিকাগুলো সহ বিভিন্ন মিডিয়াগুলোতে, জাতীয় নগ্ন দিবস নিয়ে টুকরো টুকরো অনেক খবরই প্রকাশ পেলো। সবার মনেই এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সবাই শুধু বিস্তারিত জানার জন্যে, রাত আটটার টেলিভিশন সংবাদের অপেক্ষাতেই উদগ্রীব ছিলো।
রাত আটটা বাজতেই সংবাদ শুরু হলো। জনপ্রিয় সংবাদ পাঠিকা ফারহানা খান বলতে থাকলো, সুপ্রিয় দর্শক শ্রোতা, শুরু করছি আজ রাত আটটার সংবাদ। প্রথমেই শুনুন সংবাদ শিরোনাম। আগামিকাল জাতীয় নগ্ন দিবস। শিমুলপুর পতিতালয় নির্মান কাজের অর্থ আত্মসাতের দায়ে, একজন প্রকৌশলী সহ দুজন পদস্থ কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্ত। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বাঁড়াখোলা ক্লাব ও ভোদাভেজান ক্লাবের ফ্রন্ডলী যৌন খেলাটি ৪-৪ গোলে ড্র। এবার শুনুন বিস্তারিত খবর।
বিস্তারিত খবর পাঠ করতে থাকলো, সংবাদ পাঠক ইমতিয়াজ শামীম।
আগামীকাল জাতীয় নগ্ন দিবস। জাতীয় নগ্ন দিবস, এ বছরই প্রথম উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ দিবসটিকে যথাযথভাবে পালন করের জন্যে বিভিন্ন মহল অক্লান্ত তৎপরতা চালিয়ে এসেছে গত এক মাস ব্যাপী। এই দিবসটি যেনো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্যে সরকারও, বিভিন্ন পদক্ষেপসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে। জাতীয় নগ্ন দিবস উপলক্ষ্যে, ফুলিস্তান গোল চত্বরে, রাত বারোটার সময় যুবক যুবতীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নগ্ন হবার মাধ্যমেই, দিবসটি উদযাপনের কাজ শুরু করবে বলে, বিভিন্ন সূত্র থেকে অনুমান করা যাচ্ছে।
এদিকে আগামীকাল জাতীয় নগ্ন দিবস উপলক্ষ্যে, দেশের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সহ, বড় বড় শহরগুলোতে, যৌন পাগলা সম্প্রদায় কর্মীরা আনন্দ মিছিল বেড় করেছে। পিলেট উপশহরে, তেমনি একটি আনন্দ মিছিল সারা শহর প্রদক্ষিন করে, একটি আবাসিক এলাকায় ঢুকে পরলে, এলাকার সৃজনশীল গোষ্ঠি একটি প্রতিবাদ মিছিলও বেড় করে। দুটো দল মুখোমুখি হতেই, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তবে, পুলিশ ও নগ্ন দিবস উদযাপন কমিটির বাহিনিরা সংঘর্ষটি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। কোন রকম অপ্রিতীকর ঘটনা কিংবা আহত নিহত হবার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবাসগুলোতে, অনাবাসিক ছাত্রীদের যথেয্ঠ ভীর জমেছে। তার কারন হিসেবে জানা গেছে, এসব ছাত্রীরা নগ্ন দিবসে, নিজ পরিবার সহ প্রতিবেশীদের সামনে দিয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করা লজ্জাকর। তাই তারা আগেভাগেই বিভিন্ন ছাত্রী নিবাস সহ মহিলা হোষ্টেল গুলোতে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করছে। তবে, ছাত্রাবাসগুলোতে, এমন কোন লক্ষন চোখে পরেনি।
আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি এও জানিয়েছে, আগামীকাল জাতীয় নগ্ন দিবস উপলক্ষ্যে স্বনামধন্য চলচিত্র নির্মাকার পাশা বদরুল একটি পুর্ন নগ্ন চলচিত্রও নির্মান করেছে। ছবিটি আগামিকাল এক যোগে সারা দেশে শুভমুক্তি পাবে বলেই প্রতিনিধিটি জানিয়েছে। এই বাপারে, আমাদের নিজস্ব রিপোর্টার মুস্তাফিক, পাশা বদরুলের সাক্ষৎকার নেবারও সুযোগ পেয়েছে। চলুন দেখি, পাশা বদরুলের সাক্ষাৎকার।

পাশা বদরুলের সাক্ষাৎকারটি তার চেম্বারেই হচ্ছিলো। মুস্তাফিক প্রশ্ন করলো, আচ্ছা পাশা ভাই, আমরা জানি, আপনি সবসময় সামাজিক ছবি নির্মান করেন। এবং বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। হঠাৎ, এ ধরনের ছবি নির্মানের কারনটা কি আমাদের জানাবেন?
পাশা বদরুল খুব সহজভাবেই বললো, আমার এই নুতন ছবিটিও একটি সামাজিক ছবি। সাধারন সুখ দুঃখ নিয়ে একটি কাহিনী। তবে, পার্থক্য হলো, অভিনেতা অভিনেত্রিরা কোন পোষাক পরেনি।
মুস্তাফিক বললো, তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারিনা যে, আপনি তথা কথিত একটি নীল ছবিই বানিয়েছেন?
পাশা বদরুল খুব গম্ভীরভাবেই বললো, দেখুন, নীল ছবির মুখ্য উদ্দেশ্যই থাকে সেক্স, যৌনতা। আমার এ ছবির মূল আকর্ষন আসলে নগ্নতা। যেটাকে অনেকেই শিল্পও মনে করে থাকে।
মুস্তাফিক বললো, কিন্তু, আমরা যতদুর শুনেছি, আপনার এই নুতন ছবিটিতে দুটো সেক্স দৃশ্যও রয়েছে। সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?
পাশা বদরুল বললো, দেখুন, আমার প্রতিটি ছবিতেই কিন্তু দু একটা সেক্স দৃশ্য থাকে। তবে, তখন আমরা ক্যামেরাকে ঘুরিয়ে নিই আকাশের দিকে, কিংবা ফুল পাখির দিকে। দর্শকরা কিন্তু ঠিকই অনুমান করে নেয়, এখানে একটা সেক্স দৃশ্য ছিলো। তারা সেটা কল্পনাতেই দেখে। এবারের ছবিটি যখন একটি পুর্ন নগ্ন ছায়াছবি, তখন আর সেখানে কল্পনায় সেক্স দৃশ্য রেখে লাভ কি?
মুস্তাফিক বললো, বুঝলাম। কিন্তু, আপানার এই ছবিতে নায়ক সহ অধিকাংশই নাকি নুতন মুখ। এ ব্যাপারে ব্যবসায়িক সফলতা কতটুকু পাবেন বলে আশা করেন?
পাশা বদরুল বললো, এ ব্যপারে আমারও কম দুঃশ্চিন্তা ছিলো না। অনেক প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা অভিনেত্রীরাই অভিনয় করতে রাজী হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই কিছু নুতন মুখ কাষ্ট করেছি। তবে, সবাইকে দিন রাত অভিনয় প্রশিক্ষন দিয়েছি। আমার তো মনে হয়, সবাই ভালোই অভিনয় করেছে।
মুস্তাফিক বললো, আপনাকে আমার শেষ প্রশ্ন! যতদুর জানি, এ ছবির নায়িকা আমাদের দেশের বর্তমান শ্রেষ্ঠ তারকা তপা রহমান। তাকে রাজি করালেন কিভাবে?
পাশা বদরুল হাসতে হাসতেই বললো, তপা তো অনেকটা আমার মেয়ের মতোই। আমার ছবিতেই তপার ব্রেক। আমার অনেক ছবিতেই সে নায়িকার রোল করেছে। এই ছবিটির ব্যপারে অবশ্য, প্রথমে রাজী হয়নি। কিন্তু যখন বুঝালাম, জাতীয় নগ্ন দিবসে তো নগ্ন হতেই হবে। তখন কেউ না কেউ তোমার নগ্ন দেহটা দেখবেই। তো তোমার ভক্ত আর দর্শকদের তা থেকে বঞ্চিত করে কি লাভ? তা ছাড়া দেশের প্রথম পুর্ন নগ্ন ছবির নায়িকা হিসেবে, ক্রেডিটটা তো তোমারই থাকবে!
মুস্তাফিক বললো, পাশা ভাই, আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করে সাক্ষাৎকার দেবার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাশা বদরুল বললো, আপনাকেও ধন্যবাদ।

পাশা বদরুলের সাক্ষাৎকারটা শেষ হতেই সংবাদ পাঠ শুরু করলো, ফারহানা খান।
আপনারা এতক্ষন দেখলেন পাশা বদরুল এর সাক্ষাৎকার। আর পাশা বদরুল এর পুর্ন নগ্ন ছবিটিতে অভিনয় করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, বর্তমানে এদেশের জনপ্রিয় চিত্র তারকা তপা রহমান। এখন আমরা আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি তারই নিজস্ব বাসভবনে সাক্ষাৎকার এর জন্যে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছে, আমাদের নিজস্ব রিপোর্টার সুচিত্রা দেব।

সোফায় বসা তপা রহমানকে লক্ষ্য করেই সুচিত্রা দেব তার প্রথম প্রশ্ন করলো, যতদুর জানি, আপনি পাশা বদরুল এর পুর্ন নগ্ন ছায়াছবিতে অভিনয় করে, সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন, এ ব্যপারে আপনার অনুভুতি কি?
তপা রহমান তার চমৎকার চুল গুলো ছড়িয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বললো, ভালোই তো লেগেছে! আগামীকাল তো সবাই সবার কাছের মানুষদের নগ্ন দেখতে পাবে। অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাছের মানুষ তো দর্শকরাই। তারা যদি আমার অভিনীত ছবি দেখে আনন্দ পায়, মন্দ কি?
সুচিত্রা বললো, শুনলাম, এই ছবিতে আপনি দুটো সেক্স দৃশ্যেও অভিনয় করেছেন। সে ব্যপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
তপা রহমান খানিকটা অন্যমনস্ক হয়েই বললো, আসলে, সেক্স এর ব্যপারে আমার নিজেরও কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলোনা। আর জানেনই বোধ হয়, এই ছবির নায়কও একজন নবাগত। তারও কোন অভিজ্ঞতা ছিলোনা। তা ছাড়া ছবির স্যুটিং এর ব্যপার তো বুঝেনই! একটু ভুল করলেই, কাট্! আবার নুতন করে সেক্স করা! প্রথমটায় বিরক্তিই লেগেছিলো। কাঁদতেও ইচ্ছে হয়েছিলো কয়েকবার। পরে, পাশা আংকেল বললো, তুমি আরমান এর সাথে কয়েকবার প্রাইভেট সেক্স করে নাও। তাহলে, ব্যপারটা অনেক সহজ হয়ে আসবে।
সুচিত্রা বললো, আরমান মানে? নবাগত নায়ক?
তপা রহমান বললো, জী! নবাগত হিসেবে পারফরমেন্স খুবই ভালো!
সুচিত্রা বললো, তাহলে কি বলতে চাইছেন, নবাগত নায়ক আরমানের সাথে, প্রাইভেট সেক্সও করেছেন?
তপা রহমান বললো, দেখুন, অভিনয় আমার পেশা। অভিনয়ের খাতিরে অনেক কঠিন প্রশিক্ষণও আমাদের নিতে হয়! যেমন ধরুন, ফাইটিং ছবির ফাইটিং দৃশ্যের জন্যেও তো আমাদের আলাদা প্রশিক্ষণ নিতে হায়।
সুচিত্রা বললো, আপনার সাহসী ভুমিকার জন্যে, সত্যিই সাধুবাদ জানাই। সাক্ষাৎকার দেবার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।
তপা রহমান বললো, আপনাকেও ধন্যবাদ।

সাক্ষাৎকারটি শেষ হতেই এবার সংবাদ পাঠ করতে থাকলো, ইমতিয়াজ শামীম।
জাতীয় নগ্ন দিবস উপলক্ষ্যে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের ব্যপারে, অনেক মহলেরই বিভিন্ন প্রশ্ন ছিলো। এ ব্যপারেও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সে ব্যপারে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন মডেল তারকারাও সহযোগীতা করেছে বলে জানা গেছে। তার মাঝে, বর্তমানে প্রবাদ বিজ্ঞাপন কন্যা রোমানার সাহসী ভুমিকা অধিকতর চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। রোমানা একটি কেশ তেলের বিজ্ঞাপনেই মডেলের কাজ করেছে। যেটি আগামিকালই আপনারা টেলিভিশনে দেখতে পাবেন। এবার তাহলে দেখুন মনজুর আলমের নেয়া, প্রক্ষাত মডেল কন্যা রোমানার সাক্ষাৎকার।

রোমানাও সাক্ষাৎকারটি দিয়েছে তার পারিবারিক বাস ভবনে। মনজুর প্রশ্ন করলো, আপনি তো বর্তমানে টপ ক্লাশ এর একজন বিজ্ঞাপন তারকা! আচ্ছা ম্যাডাম, পিয়া কেশ তেলের নুতন বিজ্ঞাপনটি করে আপনার অনুভুতি কি?
রোমানা খিল খিল হাসিতেই ভেঙ্গে পরলো। অনেকটা ক্ষণ হাসার পর, হাসি থামিয়ে বললো, অনুভুতি তেমন কিছুনা। হাসি পাচ্ছে এই কারনে যে, বিজ্ঞাপনটা ছিলো মাথার চুলের জন্যেই কেশ তেলের। তবে, আমার ধারনা, বিজ্ঞাপনটা প্রচার করার পর, কেউ আমার মাথার কেশের দিকে না তাঁকিয়ে, নিম্নাঙ্গের কেশের দিকেই তাঁকিয়ে থাকবে।
মনজুরও হাসলো। বললো, আপনি রসিক জানতাম, কিন্তু এতটা যে রসিক, তা জানতাম না। তারপরও কৌতুহলের কারনেই প্রশ্ন। আপনার নিম্নাঙ্গের কেশ দেখে দর্শকদের মাঝে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে আপনার ধারনা?
রোমানা আবারও হাসতে লাগলো। তারপর হাসি থামিয়ে বললো, আমার তো ধারনা, সবাই ভিডিও রেকর্ড করে, বার বার রিপিট করে দেখবে, আগামি এক বছর!
রোমানা আবারও হাসিতে ভেঙ্গে পরলো।
মনজুর বললো, সাক্ষাৎকার দেবার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

রোমানার সাক্ষাৎকারটা শেষ হতেই সংবাদ পাঠ করতে শুরু করলো ফারহানা খান।
এদিকে, আগামীকাল জাতীয় নগ্ন দিবস উপলক্ষ্যে, সারা দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ অনুষ্ঠান এর আয়োজন করবে বলে খবর জানা গেছে। বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতেও কলাকুশলী, অভিনেতা-অভিনেত্রি, সংবাদ পাঠক-পাঠিকারা নগ্নতার মাধ্যমেই দিবসটির যথাযোগ্য ময্যাদা দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সংবাদটা পাঠ করেই, ফারহানা খান চোখ গোল গোল করে বললো, তার মানে আমাকেও নগ্ন দেহে সংবাদ পাঠ করতে হবে?
সংবাদ অনুষ্ঠানেই পাশে বসা ইমতিয়াজ শামীম বললো, কেনো, জানতেনা তুমি?
ফারহানা খানের চেহারাটা লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো। সে আমতা আমতা করে বলতে থাকলো, না মানে, অনুমান করেছিলাম! কিন্তু, তাই বলে সত্যি সত্যি? না বাবা, আমি পারবোনা। আমি কাল ছুটি নেবো!
সাথে সাথেই টেলিভিশনের ইনসেটে দেখা গেলো, একটি ছাত্রাবাসে টেলিভিশন দর্শকদের সরাসরি রিপোর্ট সম্প্রচার। ইনসেটটা ক্রমে ক্রমে পুরো পর্দাতেই ভেসে উঠলো। সবাই শ্লোগান করছে, ফারহানা ম্যাডামের ছুটি নেয়া, মানিনা, মানবোনা! ফারহানা ম্যাডামকে নগ্ন দেহে, দেখতে চাই, দেখতে চাই!
আবারো, টেলিভিশন পর্দায় জুড়ে এলো ফারহানা আর ইমতিয়াজ শামীম। ইমতিয়াজ শামীম বললো, দেখলে তোমার জনপ্রিয়তা! এবার পাবলিক ঠেকাও! কেউ কিন্তু আমাকে নগ্ন দেখতে চাইছেনা।
ঠিক পরক্ষণেই একটি মহিলা হোষ্টেল থেকে ইনসেট ভেসে উঠে, রিপোর্টার মর্জিনার চিৎকার করা গলা শুনা গেলো। সে চিৎকার করে বলছে, শামীম ভাই, শামীম ভাই, খবর আছে! দেখুন এরা কি বলছে?
টেলিভিশন পর্দায় দেখা গেলো, এক ঝাক মহিলা শ্লোগান করছে, শামীম ভাইয়ের নগ্ন দেহ, দেখতে চাই, দেখবো!
ইমতিয়াজ শামীম হাসিতে ফেটে পরলো। হাসি থামিয়ে বললো, এতদিন আমার ধারনা ছিলো, ছেলেদেরই বুঝি মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখার আগ্রহ থাকে! মেয়েদেরও যে ছেলেদের নগ্ন দেহ দেখার আগ্রহ থাকে, তা জীবনে প্রথম আজকে জানলাম।
তাহমিনা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলো মাত্র। সুন্দরী, বুদ্ধিমতী, সমাজ সচেতন এক যুবতী। সংবাদ চলাকালেই বাবার পাশে বসে, টেলিভিশন দেখতে দেখতে তাহমিনা বলে উঠলো, ব্যাপারটা কি সত্যিই?
তাহমিনার বাবা বশীর আহমেদ পত্রিকাতেই চোখ রাখছিলো। টেলিভিশন সংবাদটা শুনেনি, এরকম একটা ভাব দেখিয়ে বললো, কোন ব্যাপারটা?
তাহমিনা সহজভাবেই বললো, এই যে বলছে, জাতীয় নগ্ন দিবসের কথা!
বশীর আহমেদ টেলিভিশনের দিকে তাঁকিয়ে বললো, কেনো তুমি জানতেনা?
তাহমিনা বললো, হ্যা, শুনেছি! তবে এতটা যে সিরীয়াস তা তো ভাবিনি! যাদের ইচ্ছে হয় নগ্ন হতে, হউক! সবাইকে কেনো বাধ্য করবে?
বশীর আহমেদ বললো, কি আর করার? যখন ক্ষমতা যাদের হাতে! সংসদে বিল পাশ হয়ে গেছে!
তাহমিনা রাগ করেই বললো, তুমি কি এটা সাপোর্ট করছো?
তাহমিনার ছোট ভাই সাগর ক্লাস এইটে পড়ে। সেও ওপাশে সোফায় পা তুলে বসে, খুব মজা করেই টেলিভিশন দেখছিলো। সেও তাহমিনা আর বাবার আলাপে যোগ দিয়ে বললো, আমার কাছে কিন্তু রোমান্টিকই লাগছে!
তাহমিনা সাগরের দিকে চোখ লাল করেই তাঁকালো। তারপর ধমকের গলাতেই বললো, সাগর, তুমি সারাদিন ন্যাংটু হয়ে ঘুরে বেড়াও, নাচো, গাও, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা। তবে, সাবধান! আমার দু চোক্ষের সামনে যেনো তোমাকে না দেখি।
রান্নাঘরে রান্না করার ফাঁকে ফাঁকেই চুপি দিয়ে দিয়ে সংবাদটা শুনছিলো, তাহমিনার মা রোমানা। সেও রান্নাটা চড়িয়ে দিয়ে বসার ঘরে ঢুকে বললো, তুমি এত উদ্বিগ্ন হচ্ছো কেনো তাহমিনা? আমার কাছেও তো ভালো লাগছে। এই গরমে গায়ে কাপর জড়িয়ে রাখতে তো দমটাই বন্ধ হয়ে আসে! তার মাঝে শপিং যাওয়া, এখানে সেখানে যাওয়া, ঘেমে পোষাকের কি অবস্থাটাই না হয়! অন্তত বছরে একটা দিন খোলামেলা মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করা যাবে, মন্দ কি? আমি তো কোন সমস্যা দেখছিনা!
তাহমিনা বললো, মা, সমস্যাটা তোমার নয়! আমার! তুমি ন্যাংটু হয়ে শপিংএই যাও আর যেখানেই যাও, তোমার ঐ নেতিয়ে থাকা বুকের দিকে কেউ চোখ তুলেও তাঁকাবে না। আমার এখন ভরা যৌবন! এমনিতে পোষাকে, ওড়নাতে ঢেকে ঢুকে একটু বাইরে গেলে, শত শত ছেলে বুড়ুর নজর পরে আমার বুকে! একদিন পোষাক না পরলে ব্যাপারটা কেমন হবে, ভাবতে পারো?
সাগর বলে উঠলো, আপু, এটা তোমার বাড়িয়ে বলা কথা! তুমি তো ঘরে ওড়নাও পরোনা। আমি কিংবা বাবা কি তোমার বুকের দিকে কখনো তাঁকাই? আমি আর বাবাও কিন্ত ছেলে বুড়ুদের মাঝে পরি!
তাহমিনা মুখ ভ্যাংচিয়ে বললো, বড্ড পেঁকেছো তুমি।
সাগরের কথাটা শুনে, বাশীর আহমেদ এক নজর আঁড় চোখেই তাঁকালো তাহমিনার বুকের দিকে। তাইতো, সেও তো কোনদিন তাহমিনার বুকের দিকে তাঁকায়নি! চোখের সামনে দেখতে দেখতে মেয়েটা এত বড় হয়ে গেছে! টাইট কামিজটার উপর দিয়েও বাতাবী লেবুর মতোই দুটো বক্ষ উপচে উপচে ভেসে আছে! এমন বক্ষের মেয়ে, নগ্ন দেহে ঘরের বাইরে গেলে, নির্ঘাত সব ছেলে বুড়ুরই মাথা খারাপ হয়ে যাবে। তাই সে তাহমিনাকে লক্ষ্য করে বললো, কালকে ঘরের বাইরে না গেলেই তো হয়! কেউ তো আর কারো ঘরে এসে দেখতে চাইবে না যে, কেউ পোষাক পরে রেখেছে কিনা!
তাহমিনা বললো, সে কথাই তো বলতে চাইছিলাম। কালকে ক্লাশ টিউটরিয়াল আছে। বাধ্য হয়েই যেতে হবে! টিচারগুলোও বদমাশ! ইচ্ছে করেই যেনো টিউটরিয়াল গুলো ঝুলিয়ে রেখেছ! যেনো কেউ ক্লাশ ফাঁকি দিতে না পারে!
নিজের মেয়ের নগ্নতা অন্য কেউ দেখুক, সেটাও মানতে পারছেনা বশীর আহমেদ। সে বললো, একটা টিউটরিয়ালে এটেন্ড না করলেই বা কি?
তাহমিনা মন খারাপ করেই বললো, বাবা, ইউনিভার্সিটি কি আর তোমাদের যুগের মতো আছে? টিউটরিয়ালে এটেন্ড না করা মানে, ফেল! সেকেন্ড ইয়ারে প্রোমোশনটাই হবে না।
বশীর আহমেদ নিরুপায় হয়েই বললো, কি আর করার! তাহলে তো আর উপায় নেই!
তহমিনা রাগ করেই বললো, উপায় নেই মানে? একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, তোমার প্রতিবাদ করা কি উচিৎ না?
বশীর আহমেদ বললো, আমার প্রতিবাদে কি কারো কিছু আসে যায়? এখন ক্ষমতা সিকদার অনির হাতে। তার ভক্ত, অনুসারীও প্রচুর! শুনছি তো এই জাতীয় নগ্ন দিবস সফলভাবে উদযাপন হলে, মন্ত্রীও নাকি হয়ে যাবে?
তাহমিনা চোখ কপালে তুলে বললো, মন্ত্রী? সিকদার অনি?
তাহমিনা একটু থেমে আবার বললো, মন্ত্রী হয়ে হারামজাদা করবেটা কি?
বশীর আহমেদও খানিকটা রাগ করে বললো, অমন গাল দিয়ে কথা বলছো কেনো? একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য! যৌনসেবা মন্ত্রী হিসেবে যা যা করা উচিৎ সবই করবে! মন্ত্রী না হয়েও তো অনেক কিছু করলো। আমাদের এলাকায় আগে কোন লাভার্স ক্লাব ছিলো না, এখন হয়েছে! এতে করে সমাজের কতটা উপকার হয়েছে অনুমান করতে পারছো? কলেজ ইউনিভার্সিটির মেয়েরা পার্ট টাইম কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছে! প্রেমে ব্যর্থ ছেলে বুড়ুরা কয়টা পয়সার বিনিময়ে হলেও প্রেম করার স্বাদটা পূরণ করতে পারছে।
তাহমিনা গলার সুর পরিবর্তন করে বললো, বাবা, ঐ লাভার্স ক্লাবে তুমি আবার যাও টাও না তো?
বশীর আহমেদ একবার রোমানার দিকে আঁড় চোখে তাঁকালো। তারপর, বিড় বিড় করে বললো, তোমার মায়ের যা ছিরি! না গিয়ে কি আর পারি নাকি?
তাহমিনা বললো, কিছু বললে নাকি?
বশীর আহমেদ আমতা আমতা করেই বললো, না মানে, সিকদার অনির কথাই বলছিলাম! তাকে গালাগাল করে লাভ নাই! শিমুলপুর পতিতালয়টার কথাই ধরো না। ঐটা নির্মান হয়ে গেলে দেখবে, আমাদের এলাকায় কোন ধর্ষণই থাকবে না। এটা একটা সমাজের জন্যে কতটা আশীর্বাদ, অনুমান করতে পারো?
তাহমিনা বললো, লাভার্স ক্লাব, পতিতালয়, এসবের সাথে জাতীয় নগ্ন দিবসের সম্পর্ক কি? লাভার্স ক্লাব, পতিতালয়, এসবে যাদের ইচ্ছে হয় যাতায়াত করবে, আমি তো খারাপ বলছিনা! কিন্তু!
বশীর আহমেদ বললো, নিশ্চয়ই কোন কিন্তু আছে! সবারই তো চেনা জানা সবার নগ্ন দেহটা দেখতে ইচ্ছে করে! দেখার জন্যে চিরকালই মনটা ছটফট করে! অথচ, সে আশা কখনো পূরণ হয় না। এমন একটি দিন থাকলে হয়তো, সবার মনের আশাই পূরণ হবে!
তাহমিনা চোখ বড় বড় করেই বললো, তাহলে বাবা, আমার নগ্ন দেহটা দেখার জন্যেও বুঝি তোমার মনটা ছটফট করে?
বশীর আহমেদ অপ্রস্তুত হয়েই বললো, আমি কি বলেছি নাকি? বলছি, সিকদার অনির ভক্তদের কথা!
তাহমিনা বললো, ঐ হারামজাদার কথা আর বলোনা। হারামজাদাকে যদি একবার কাছে পেতাম, তাহলে তাকে ন্যাংটু করে, নুনুটা আগে রশি দিয়ে বাঁধতাম। তারপর, নুনুটা টেনে টেনে মজা বুঝাতাম, জাতীয় নগ্ন দিবসে কত মজা!
বশীর আহমেদ বললো, যা পারবে না তা নিয়ে কথা বলো না। সিকদার অনি অতিশয় ভালো মানুষ। নিজের জন্যে কিছুই করছে না। করছে সাধারন মানুষের সাধ ইচ্ছার খাতিরেই!
তাহমিনা রাগ করেই বললো, ঐসব সাধারন মানুষ টানুষ আমি বুঝিনা। কাল সকালে তোমরা সবাই ন্যাংটু হলে হবে, আমার কোন আপত্তি নেই। তবে, আটটার আগেই ঘর থেকে বেড়িয়ে যাবে। আমি ইউনিভার্সিটি যাবার সময় কাউকে যেনো ন্যাংটু দেখতে না হয়!
চৌদ্দ বছর বয়সের সুমি ভাবছে অন্য রকম! সে সোফার পেছনে দাঁড়িয়ে, তার বাবার গলা জড়িয়ে ধরে খিল খিল হাসিতেই বললো, আব্বু, কালকে কি তাহলে সবাইকে ন্যাংটু থাকতে হবে? উফ, কি মজাটাই না হবে!
ওপাশের সোফায় বসা সুমির বড় ভাই শাকিল বললো, তোমার পেয়ারার মতো কঁচি দুটো দুধু যখন সবাই টিপে দিবে, তখন মজা বুঝবে!
সুমি অবাক হয়েই বললো, কেনো? দুধু টিপে দেবে কেনো? নগ্ন দিবস কি দুধু টিপার দিবস নাকি?
শাকিল বললো, ওগুলোর জন্যে কোন নিয়ম লাগেনা যে! নিয়ম এমনিতেই হয়ে যায়! তোমার বুকে টস টসে দুটো পেয়ারা দেখলে, ছেলেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে আর কি!
সুমি খানিকটা রাগ করেই বললো, তুমি জানো কি করে, আমার দুধু টস টসে পেয়ারার মতো! তুমি কখনো দেখেছো নাকি?
শাকিল বললো, দেখতে হয় নাকি? তোমার জামার উপর দিয়ে দেখলেই বুঝা যায়!
সুমি তার কঁচি বক্ষ যুগল তার বাবার পিঠে ঠেকিয়ে, পেছন থেকে তার বাবার থুতনীটা নিজের দিকে টেনে ধরে বললো, আব্বু, তোমারও কি তাই মনে হয়?
সুমির বাবা জাফর হোসেন বললো, কোনটা? দুধু টেপার কথা? নাকি তোমার দুধু পেয়ারার মতো?
সুমি বললো, দুটোই!
জাফর হোসেন বললো, দুটোই সত্যি! দুষ্টু ছেলেদের তো আর বিশ্বাস নেই! তাই সাবধানে থাকবে! যেখানেই যাও, কোথাও একা যাবে না!
সুমি শাকিলের দিকে সন্দেহের চোখে তাঁকিয়ে বললো, ভাইয়া, তাহলে তুমিও বুঝি কালকে সেই ধান্ধাতেই থাকবে?
শাকিল খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে বললো, তোমাকে বলেছে! আমার আর খেয়ে দেয়ে কাম নাই আর কি?
সুমি খিল খিল করে হেসে উঠে বললো, ঐ তো! তোমার চেহারাতেই ভেসে উঠেছে, কালকে তুমি কি করবে?
শাকিল বললো, তুমি একটু বেশী বুঝ!
সুমি তার বাবার গলা জড়িয়ে ধরে রেখেই, আহলাদের গলাতে বললো, আব্বু, ভাইয়াকে দেখে তোমার সন্দেহ হয় না? মনে তো হচ্ছে আমার দুধুও টিপে দেবে!
জাফর সাহেব ধমকেই বললো, আহা এসব কি শুরু করে দিলে তোমরা! সাবধানে থাকলে, ওসব কিছুই হবেনা।
তারপর শাকিলের দিকে তাঁকিয়ে বললো, ওসব মতলব থাকলে সাবধান হয়ে যাও! এসব ঘটলে, সাথে সাথে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে! সংবাদে কি বলছে ভালো করে শুনো!
শাকিল বললো, না আব্বু, আমি তো একটা সম্ভাবনার কথা বললাম! আমাদের ক্লাশের দুষ্ট ছেলেরা, তেমনি কিছু পরিকল্পনাই করছিলো!

কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়া নুপুরদের পরিবারে জাতীয় নগ্ন দিবস নিয়ে খুব একটা চঞ্চলতা আছে বলে মনে হলো না। রাতের খাবারের পর তার বাবা সোলয়ামান খান সোফায় হেলান দিয়ে বসে, দৈনিক পত্রিকাটা চোখের সামনে মেলে ধরলো। তার মা শায়লা বানু এটাচড কিচেনে, থালা বাসন ধোয়া নিয়েই ব্যাস্ত। তেরো চৌদ্দ বছর বয়সের ছোট ভাই দিদার মেঝেতে কার্পেটের উপর বসেই টি, ভি, দেখছে! আর ষোড়শী নুপুর ওপাশের লম্বা সোফাটাতে কাৎ হয়ে শুয়েই টি, ভি, দেখছিলো। ঠিক তখনই তার বড় বোন আঠারো বছর বয়সের সুতন্নী ঝুমুর, বড় একটা হাই তুলে, পুরোপুরি নগ্ন দেহে, তার বিশাল সুউন্নত স্তন যুগল স্প্রীং এর মতোই দোলাতে দোলাতে বসার ঘরে এসে ঢুকলো।
সোফায় কাৎ হয়ে শুয়ে থাকা নুপুরের চোখে, ঝুমুরের নগ্ন দেহটা পরতেই সে উঠে বসলো। সে অবাক হয়েই বললো, কি ব্যাপার আপু? রাত বারোটা বাজতেও তো এখনো আড়াই ঘন্টা বাকী! তুমি তো দেখছি, তার অনেক আগে থেকেই নগ্ন দিবস উদযাপন শুরু করে দিয়েছো!
ঝুমুর ছোট একটা হাই তুলে, তার সুউন্নত নগ্ন বক্ষ দোলিয়ে, নুপুরের পাশেই অলস দেহে সোফাটায় বসলো। তারপর বললো, কি করবো বলো? আমার খুব ঘুম পাচ্ছে! রাত বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কে বসে থাকবে?
ঝুমুরের কথা শুনে তার বাবা সোলায়মান খান যেমনি পত্রিকার আড়াল থেকে চুপি চুপি ঝুমুরের সুন্দর যৌন বেদনায় ভরপুর নগ্ন দেহটা দেখতে থাকলো, মেঝেতে কার্পেটের উপর বসা দিদারও মাথা ঘুরিয়ে ঝুমুরকে দেখতে থাকলো। নুপুর বললো, রাত বারোটায় যে সবাইকে নগ্ন হতে হবে, সে কথা তোমাকে কে বললো?
ঝুমুর বললো, টি, ভি, সংবাদে বললো না, আজ রাত বারোটা এক মিনিটে জিরো পয়েন্টে যুবক যুবতীরা এক সংগে নগ্ন হবার মাধ্যমে দিবসটির উদ্বোধনী মিছিল বেড় করবে!
নুপুর বললো, তাই বলে ঘরের ভেতর তুমি রাত বারোটায় ন্যাংটু হবার কথা ভেবেছিলে নাকি?
ঝুমুর আরো একটা ছোট হাই তুলে উঠে দাঁড়ালো। তারপর বললো, কি জানি বাপু? আমি কি অত শত বুঝি? যা শুনছি, তাই পালন করার চেষ্টা করছি! আমি ঘুমুতে গেলাম! গুড নাইট!
সবাই গুড নাইট বলতে যেতেই, নুপুর বললো, আপু, যাই বলো না কেনো! তোমার দুধ দুটো যা হয়েছে না! এই সুযোগে তোমার চমৎকার দুধ গুলো সবাইকে দেখানোর লোভটা সামলাতে পারছিলে না, তাই না?
নুপুরের কথা শুনে, সোলায়মান খান আবারও আঁড় চোখে ঝুমুরের বুকের দিকে তাঁকালো। সেই সাথে নিম্নাংগের ঘন কালো কেশ গুলোর দিকেও। আর ছোট ভাই দিদার তো ফ্যাল ফ্যাল করে এক দৃষ্টিতেই তাঁকিয়ে রইলো। ঝুমুরের ঘুম ঘুম ভাবটা আর চোখে রইলো না। সে মুচকি হেসেই বললো, তোমার বুঝি খুব হিংসে হচ্ছে?
নুপুর বললো, তাতো একটু আধটু হতেই পারে!
শায়লা বানু রান্না ঘরের কাজ শেষ করে, বসার ঘরে ঢুকে সোলায়মান খানের চোখের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললো, যেভাবে মেয়ের বুকের দিকে তাঁকিয়ে রয়েছো, শেষে তো ক্রেইজী হয়ে যাবে!
সোলায়মান খান লজ্জিত হয়ে বললো, না মানে, নুপুর ঠিকই বলেছে! মা ঝুমুরের বক্ষ দুটোর সত্যিই কোন তুলনা হয়না! নগ্ন না হলে তো কোনদিন জানতেও পারতাম না!
ঝুমুর বললো, বাবা, তোমার কথাটা ঠিক হলো না। তুমি নুপুরের বক্ষ কখনো দেখোনি বলেই এমন করে বলছো! নুপুরের বক্ষ দেখলে তোমার মাথাটাই খারাপ হয়ে যাবে!
শায়লা বানু রাগ করেই বললো, তোমাদের সবার কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো? বাপ মেয়েতে এসব আলাপ করে নাকি, ছি!
তারপর সোলায়মান খানকে লক্ষ্য করে বললো, আর তুমি বুড়ু হাবাকেও বলছি, আমার বুক দেখে কি তোমার মন ভরে না! ওভাবে মেয়ের বুকের দিকে তাঁকাতে লজ্জা করছে না?
সোলায়মান খান বললো, আহা তাঁকালাম কোথায়? চোখের সামনে পরে গেলো তাই!
ঝুমুর দরজার কাছাকাছি গিয়ে, ঘুরে দাঁড়িয়ে আরো একটা হাই তুলে বললো, তোমরা ঝগড়াঝাটিটা চালিয়ে যাও। আমার বড্ড ঘুম পাচ্ছে! ঘুমুতে গেলাম!
এই বলে ঝুমুর নিজের ঘরে চলে গেলো। আর শায়লা বিড় বিড় করে গালাগাল করতে থাকলো সিকদার অনিকে, পুংটা কোথাকার! এম, পি, হইছে! সারা দেশটারে একটা হারেমখানা বানাইয়া ছাড়বে!
নুপুর বললো, মা, তুমি যাই বলো না কেনো! সিকদার অনি কিন্তু খুবই মেধাবী লোক! নইলে মাত্র আঠাশ বছর বয়সে এম, পি, কিভাবে হয় বলো?
শায়লা বানু আরো ক্ষেপে গিয়ে বললো, তাহলে সিকদার অনির সাথে গিয়ে প্রেম করো! গলায় ঝুলে পরে বিয়ে করো! যত্তসব!
নুপুরও কম গেলো না। বললো, পারলে তাই করতাম! খুবই হ্যান্ডসাম! একটু আগেও তো তার সাক্ষাৎকার দেখালো। কি সুন্দর করে কথা বলে! নগ্নতার ব্যাপারগুলোও এত চমৎকার করে বলে যে, তা কখনো কুৎসিত কিংবা ঘৃণিত মনে হয়না। বরং নগ্নতার মাঝে একটা শিল্পই আছে বলে মনে হয়! তার সাথে সরাসরি একবার কথা বলতে পারলেও আমার জীবন ধন্য!
শায়লা বানু মুখ খিঁচিয়েই বললো, তাহলে, যাওনা যাও! সিকদার অনিকে তোমার নগ্ন দেহটা দেখিয়ে ধন্য হয়ে এসো!
নুপুর বললো, সে কথা তোমাকে আর বলতে হবেনা! আমরা কয়জন বান্ধবী ঠিকই করে রেখেছি তার সাথে কালকে দেখা করবো!
শায়লা বানু চোখ কপালে তুলে বললো, ওমা, বলো কি? কোথায়? কিভাবে?
নুপুর বললো, আগামীকাল সিকদার অনি যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করতে যাবে, সেগুলোর মাঝে কলেজ হিসেবে একমাত্র আমাদের কলেজটাই ভিজিট করবে! সুযোগটা কিভাবে নেবো, তা তখনকার পরিস্থিতি দেখেই ঠিক করবো!
শায়লা বানু মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পরলো। তারপর হতাশ গলায় বললো, তার মানে, তুমি কালকে ঘর থেকে বেড়োবে, কলেজে যাবে? ন্যাংটু হয়ে?
নুপুর বললো, কেনো নয়! আগামীকাল কলেজে বিশেষ প্রতিযোগীতার ব্যাপারগুলোও আছে! আমিও সেসবে অংশ নেবো বলে নামও দিয়েছে!
শায়লা বানু মাথা চাপড়াতে চাপড়াতে বললো, তাহলে সেরেছে! আমি প্রতিবেশীদের মুখ দেখাবো কেমন করে? সবাইকে উঁচু গলায় বলে রেখেছি, সবাই যা কিছু করুক না কেনো, আমাদের ফ্যামিলিতে এসব নগ্নতা কখনো প্রশ্রয় দেবো না। এক মেয়ে তো রাত নটা থেকেই ন্যাংটু হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আর এক মেয়ে বলছে, কালকে নাকি ন্যাংটু হয়ে কলেজেও যাবে!
নুপুর তার মাকে শান্তনা দিয়ে বললো, মা, তুমি শুধু শুধুই দুশ্চিন্তা করছো! তুমি আসলে সেকেলে রয়ে গেছো! একটা সময়ে মেয়েদের সংক্ষিপ্ত পোষাক দেখেও মানুষ নিন্দা করতো। অথচ, এখন তা কোন ব্যাপারই না। বরং ওড়না পরা কোন মেয়ে দেখলে, সবাই ক্ষেত ভাবে! এমনও সময় আসবে, যখন মানুষ নগ্ন ভাবে চলাফেরা করলেও খুব স্বাভাবিক মনে হবে! তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবারই চলা উচিৎ!
জয়তী সমস্যায় পরলো তার মিনস নিয়ে। গত দুদিন ধরেই তার পিরিয়ড চলছে। এমনি একটা সময়ে, জাতীয় নগ্ন দিবসের ব্যাপারে মানসিকভাবে খুব একটা প্রস্তুতও ছিলো না। আগামীকাল সে কি করবে, সেই নিয়েই ভাবনায় পরে গেলো। যাদের এমন তার মতোই মিনস চলছে, তাদের ন্যাপকিন সহ প্যান্টি পরার নিয়ম আছে কিনা কে জানে? জয়তী পাগলের মতোই তার বান্ধবীদের কাছে টেলিফোন করায় ব্যাস্ত হয়ে পরলো।
বান্ধবীদের সবাই ধরতে গেলে একই কথা জানালো, তা কি করে জানবো? আমার মিনস চলছে না। তাই সেই খবর রাখিওনি! সাঈদা জানালো, কেনো, জানিস না? যাদের পিরিয়ড চলবে, তাদেরকে টেম্পন ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে!
জয়তী অবাক হয়েই বললো, টেম্পন! টেম্পন পাবো কোথায়? কখনো তো ওসব ব্যবহারও করিনি!
সাঈদা বললো, কখনো করোনি, তাতে কি? আগামীকাল উপায় নেই!
জয়তী জানালো, তোমার কাছে টেম্পন আছে?
সাঈদা বললো, আমার কাছে থাকবে কেমন করে? আমিও তো কখনো ব্যবহার করিনি! আমার মিনস চলছে না, তাই দরকারও অনুভব করিনি। তবে, সংবাদে যা শুনেছি, দুদিন ধরে মেয়েরা সবাই যে হারে টেম্পন কিনছে, তাতে করে মেডিসিনের দোকানেও পাবে কিনা সন্দেহ আছে! তারপরও একবার খোঁজ নিয়ে দেখো!
জয়তীর মাথাটা শুন্য হয়ে গেলো হঠাৎই। এত রাতে সে টেম্পন খোঁজতে যাবে কোথায়? মা যদি বেঁচে থাকতো, তাহলে হয়তো মায়ের সাথেই একটা পরামর্শ করা যেতো! কিন্তু, এখন তাদের পরিবারে তো শুধু বড় ভাই শেখর আর বাবা ছাড়া কোন মেয়েও নেই। বাবার সাথে এই সব নিয়ে আলাপ করা যায় নাকি? কিন্তু, দাদার সাথেই বা কেমন করে আলাপ করবে? জয়তী খুব দ্বিধা দ্বন্দের মাঝেই পরে গেলো। অবশেষে নিরুপায় হয়েই বড় ভাই শেখরের ঘরে গিয়ে ঢুকলো।
শেখর খুব মনোযোগ দিয়েই পড়ালেখা করছিলো। জয়তীকে ঢুকতে দেখেই, শেখর নিজে থেকেই বললো, কিরে জয়তী, কিছু বলবি?
জয়তী আমতা আমতা করেই বললো, জানোই তো, আগামীকাল জাতীয় নগ্ন দিবস!
জয়তীর কথা শেষ হবার আগেই শেখর মুচকি হেসে বললো, কি ব্যাপার, খুব লজ্জা করছে বুঝি? ঠিক আছে, খুব বেশী লজ্জা করলে, আমি বরং আজ রাতেই কোন ছাত্রাবাসে চলে যাই!
জয়তী বললো, না দাদা, সে ব্যপারে আমার কোন সমস্যা নাই। আমার সমস্যাটা হলো?
জয়তী বলতে গিয়েও কিছু বলতে পারলো না। শেখর চোখ কপালে তুলেই বললো, কি সমস্যা?
জয়তী আবারো আমতা আমতা করে বলতে থাকলো, আসলে দাদা, আমার পিরিয়ড চলছে!
শেখর খুব সহজভাবেই বললো, তাতে আবার কি সমস্যা! মেয়ে হয়ে যখন জন্ম নিয়েছো, সে সমস্যা তো থাকবেই!
জয়তী খানিকটা রাগ করেই বললো, দাদা, তুমি কি পিরিয়ড মানে বুঝো?
শেখর বললো, খুব ভালো জানিনা! তবে, শুনেছি!
জয়তী কৌতুহলী হয়েই প্রশ্ন করলো, কি শুনেছো, বলো দেখি?
শেখরও আমতা আমতা করতে থাকলো, ঐ মেয়েদের ব্যাপার আর কি? প্রতি মাসেই কি একটা ঝামেলা নাকি লেগেই থাকে!
জয়তী খানিকটা রাগ করেই বললো, সেই ঝামেলাটা হলো, মেয়েদের নিম্নংগ থেকে রক্ত ঝরার ব্যাপার! আর সেই ঝামেলাইটা এখন চলছে! কালকে যখন নগ্ন দেহে ঘর থেকে বেড়োবো, তখন আমার নিম্নাংগ থেকে বেয়ে বেয়ে, অঝোর ধারায় রক্ত ঝরবে, তখন ব্যাপারটা কেমন বিশ্রী লাগবে, একবার ভেবে দেখেছো?
শেখর বোকা বনে গিয়ে বললো, কিন্তু আমি কি করবো?
জয়তী বললো, তাইতো বলতে এলাম। তুমি কি একবার মেডিসিনের দোকানে গিয়ে টেম্পন কিনতে পাওয়া যায় কিনা খোঁজে দেখবে?
শেখর চোখ কপালে তুলেই বললো, এখন? এত রাতে?
জয়তী বললো, এখন যাবে না তো কখন যাবে? কালকে সকালে কয়টায় দোকান খুলে ঠিক আছে নাকি? তুমি কি আমার পিরিয়ডের সমস্যাটা বুঝতে পারছো?
শেখর অগত্যা বললো, ঠিক আছে, যাচ্ছি!

আসলাম সাহেবের বড় পরিবার। তিন মেয়ে, দুই ছেলে। জাতীয় নগ্ন দিবসের ব্যাপারে আসলাম সাহেবের যতটাইনা বিরক্তি ছিলো, তার বউ ছেলে মেয়েদের তত বেশী আগ্রহ দেখে ক্ষুন্নই হতে থাকলো। তার পরিবার সদস্যরা সবাই বসার ঘরে সমবেত হয়ে, ঘড়ির কাটার দিকে তাঁকিয়েই অপেক্ষা করতে থাকলো, রাত বারোটা বাজার অপেক্ষায়। ভাবখানা সবার এমন যে, রাত বারোটা বাজলেই এক সংগে সবাই নগ্ন হবার মাধ্যমে, দিবসটির যথাযোগ্য মর্যাদা দেবে।
আসলাম সাহেবের বউ মহুয়ার বয়স বিয়াল্লিশ কি তেতাল্লিশ। এই বয়সেও মহিলার দেহে যেমনি আগুন, মনেও তখন অনেক রং। আর মেয়ে তিনটিও যেনো মায়ের মতোই মাল মসলাপূর্ন দৈহিক গড়ন আর চেহারা পেয়েছে। সেই মহুয়ার আগ্রহটাই যেনো সবচেয়ে বেশী। নিজেই চায়ের আয়োজন নিয়ে আবারো সোফায় এসে বসে, টি, ভি, তে, নগ্ন দিবস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার টুকরো টুকরো তৎপরতা খবর গুলো দেখে খিল খিল হাসিতে ফেটে পরছে।
আসলাম সাহেবের বড় মেয়ে জলির বয়স একুশ। ইউনিভার্সিটি থার্ড ইয়ারের ছাত্রী। মায়ের মতোই উত্তপ্ত দেহের গড়ন! উঁচু বুক, সরু কোমরের নীচে পাছাটাও বেশ লোভনীয়! নগ্নতার ব্যাপারে তারও তেমন আগ্রহ ছিলোনা, শুধুমাত্র অন্য সবার সাথে তাল মেলানোর জন্যেই বসার ঘরে এসে বসেছিলো। বাবাকে বারান্দায় একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তার মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। সে হঠাৎই বসার ঘর থেকে বেড়িয়ে, একাকী বারান্দায় দাঁড়ানো বাবার পাশে গিয়েই দাঁড়ালো। তারপর বললো, বাবা, তুমি কিছু বলছো না যে?
আসলাম সাহেব বললো, সিকদার অনির সাথে তোমাদের সবার মাথা যে হারে খারাপ হতে শুরু করেছে, আমি আর কি বলবো?
জলি বললো, ঠিকই বলেছো বাবা! ভাবছি, আমিও বয়কট করবো!
আসলাম সাহেব বললো, কি বয়কট করবে?
জলি বললো, জাতীয় নগ্ন দিবস! কালকে কোথাও যাবো না। এখনও নিজ ঘরে গিয়ে একাকী বসে থাকবো!
আসলাম সাহেব বললো, তাহলেই ভালো। আরো ভালো হয়, এক কাপ চা যদি এখানে নিয়ে আসতে পারো! ওই গাধীটার মুখ দেখতে ইচ্ছে করছে না আমার!
জলি বললো, গাধী বলছো কাকে?
আসলাম সাহেব মুখ বাঁকিয়েই বললো, আর কাকে? তোমাদের শ্রদ্ধেয় জননী আর কি? সারা জীবন সেক্সী পোষাকে সবার মাথা খারাপ করে শখ মেটেনি! এখন ছেলে মেয়েদের সামনে ন্যাংটু হবার জন্যে, কি শখ করেই বসে আছে, দেখছো না!
জলি শান্ত গলাতেই বললো, আচ্ছা বাবা, তুমি মায়ের অগোচরে মাকে এত গালাগাল করো, অথচ মায়ের সামনে কেমন ভেজা বেড়াল হয়ে থাকো! ব্যাপারটা কি বলো তো?
আসলাম সাহেব মন খারাপ করেই বললো, সে তুমি বুঝবে না মা! শুধুমাত্র একটা কারনেই।
জলি বললো, বুঝি বাবা, বুঝি! বুঝার মতো যথেষ্ট বয়স আমার হয়েছে! মাকে তুমি প্রচন্ড ভালোবাসো বলেই ঝগড়াঝাটিগুলো এড়িয়ে যাও! কিন্তু, তোমার যদি এতই খারাপ লাগে, তাহলে কিছু বলছো না কেনো?
আসলাম সাহেব বললো, আমি বললেই কি আমার কথা শুনবে? সারাটা জীবন আমাকে জ্বালিয়ে খেয়েছে! যখন যেটা বলি, ঠিক তার উল্টুটাই করে!
জলি ফিশ ফিশ করেই বললো, তাহলে এক কাজ করো না কেনো? তুমিও নগ্ন হবার ব্যাপারে খুব আগ্রহ দেখাতে থাকো। তাহলে, মা নিশ্চয়ই উল্টুটা করবে!
আসলাম সাহেব বললো, তোমার কি তাই মনে হয়?
জলি বললো, তা কি করে বলবো? তুমিই তো বললে, মা সব সময় উল্টুটাই করে!
আসলাম সাহেব বললো, সব সময় তো তাই করে! দেখি আজকে কি করে!
এই বলে আসলাম সাহেবও বসার ঘরে গিয়ে ঢুকলো। মহুয়ার পাশে বসেই বললো, কি ব্যাপার! সবাই তো দেখছি ন্যাংটু হবার জন্যে খুব আগ্রহ করেই বসে আছো! ন্যাংটু যখন হতেই হবে, বারোটা বাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করে লাভ কি? এখুনিই ন্যাংটু হয়ে যাচ্ছো না কেনো?
মহুয়া রাগ করেই বললো, তোমার যে কথা! সব কিছুর জন্যে একটা পরিবেশ দরকার হয় না! বারোটা বাজলেই সবাই ন্যাংটু হবো!
আসলাম সাহেব বোকা বনে গেলো! এখন কিছু না বলাটাই বোধ হয় ভালো ছিলো। এখন ন্যাংটু হবার কথা বলাতেই বোধ হয় উল্টুটা হয়েছে। রাত বারোটা বাজলে, সবাইকে ন্যাংটু হও বলে, বলে দেখবে নাকি? তখন কি উল্টুটা ঘটবে নাকি? নাকি তার কিছু বলার আগেই সবাই ন্যাংটু হয়ে ধেই ধেই করে নাচতে শুরু করে দেবে!

শুক্লারানী ছাত্রী নিবাসেও তৎপরতা চলছিলো মহা সমারোহে। ছাত্রীরা নিবাস তত্বাবধায়কের কাছে দাবী জানালো, রাত বারোটায় নিবাস থেকে বেড় হতে দিতে হবে। তত্বাবধায়ক কিছুতেই সেই দাবীটি মানছিলো না। তার কারন, বখাটে ছেলেদের বিশ্বাস নেই! কোন না কোন অঘটন ঘটতেই পারে! নগ্নতার সাথে যৌনতা উৎপ্রোত ভাবেই জড়িত! নগ্ন দেহের কোন মেয়েকে দেখে, কোন ছেলেরই মাথা ঠিক থাকার কথা না। অথচ, মেয়েরা ছাত্রী নিবাসের ভেতরেই মিছিল শুরু করে দিলো, ছাত্রী নিবাস থেকে বেড় হবার, অনু মতি দিতে হবে! গেটের তালা ভেংগে দাও, গেটের তালা ভাংগবো!

রাত তখন বারোটা। টি, ভি, মিডিয়া গুলোতে ছবি সহ সংবাদ প্রচারিত হতে থাকলো! যুবক যুবতীরা জিরো পয়েন্টে আনুষ্ঠানিক নগ্নতার মাধ্যমেই জাতীয় নগ্ন দিবস উদযাপনের কাজ শুরু করেছে। ফাহিমার বাবা মা তখন ঘুমিয়ে পরেছে। ষোল বছর বয়সের ফাহিমা একাকীই টি, ভি, দেখছিলো বসার ঘরে, শব্দটা খানিকটা ছোট করে! এত সব নগ্ন দেহের নর নারী দেখে মনটা উদাস হয়ে গেলো তার। সে টি, ভি, টা বন্ধ করে নিজ শোবার ঘরে গিয়েই ঢুকলো। খানিকটা ক্ষন ঘরের মাঝেই পায়চারী করলো। তারপর নিজের অজান্তেই বড় ড্রেসিং টেবিলের আয়নাটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
নিজের চমৎকার চেহারাটা দেখে নিজে নিজেই মুচকি হাসলো ফাহিমা। জীবন থেকে ষোলটি বসন্ত পেরিয়ে গেছে তার! এই ষোল বসন্তের দেহটা নিজেও কখনো ভালো করে দেখেনি সে! তারও খুব ইচ্ছে হলো, নগ্ন হয়ে নিজের দেহটাই ভালো করে দেখতে। সে তার পরনের কামিজটা খোলে ফেললো। তারপর সেমিজটাও! আয়নার সামনে ঘুরে ফিরে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকলো তার নগ্ন বক্ষ! ষোল বসন্তে ভরপুর বক্ষ দুটো সত্যিই সুঠাম আর সুদৃশ্য! নিজের বক্ষ দেখে, নিজেই আনন্দ মিশ্রিত লজ্জায় দু হাতে চোখ ঢাকলো। তারপর আবারো দেখলো নিজেকে, হাত দুটো চোখের সামনে থেকে সরিয়ে! নিজে নিজেই বিড় বিড় করে বললো, কালকে এমন বক্ষ দেখলে, বন্ধু বান্ধবীরা কি ভাববে? ছি ছি! বাবা মায়ের সামনে এমন বক্ষ নিয়ে যাবো কেমনে?
ফাহিমা পরনের স্যালোয়ারটাও খোলে ফেললো। ফাহিমার নিম্নাংগটাও ঘন কালো কেশে ছেয়ে আছে! আয়নাতে সেদিকটাতেই একবার নজর ফেললো! নিজ নিম্নাংগের ঘন কালো কেশ গুলো নিজের মনটাকেই উদাস করে তুললো। নিজেকে আয়নাতে আর বেশীক্ষন দেখতে পারলো না ফাহিমা। এগিয়ে গেলো নগ্ন দেহে বিছানার দিকেই! নগ্ন দেহেই শুয়ে পরলো ফাহিমা, উদাস একটা মন নিয়ে।
আসলাম সাহেবের বউ মহুয়ার নগ্ন হবার জন্যে বোধ হয়, বিশেষ কোন দিনের প্রয়োজন ছিলোনা। বড় বড় শহরগুলোতে এমন ধরনের মহিলা সবার চোখেই বোধ হয় দু একজন পরে। তাদের পরনে যে সব পোষাক থাকে, ঐ পোষাকে দেখে যতটা সেক্সী মনে হয়, ন্যাংটু থাকলেও বোধ হয় অতটা সেক্সী লাগার কথা নয়। দেহের চমৎকার চমৎকার অংশগুলো সবার চোখে প্রকাশ করাই বোধ হয় ঐসব মহিলাদের উদ্দেশ্য থাকে। ঘরেও মহুয়ার পোষাক অত্যাধিক যৌন উত্তেজক। পাতলা নাইলনের গাউন! যা পরার চাইতে, না পরাই অনেক উত্তম! কেনোনা, পাতলা নাইলনের সেই গাউন ভেদ করে, দেহের প্রতিটি লোমও বোধ হয় স্পষ্ট চোখে পরে। আসলাম সাহেবদের মতো মানুষগুলোও সেসব যৌনবেদনাময়ী মেয়েদের প্রতি স্বপ্নে বিভোর থেকে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। অথবা, ঐসব মহিলারা কাউকে না কাউকে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে নিয়েও যৌনতার ব্যাপারগুলো ছাড়তে পারে না কখনো।
রাতের বিছানায় নরোম মাংসের একটা দেহের লোভেই মহুয়ার প্রতি আসলাম সাহেবের ভালোবাসা অগাধ! তবে, মহুয়া যে অন্য কোন পুরুষের সাথেও বিছানায় যায়না, তাই বা নিশ্চিত করে, কেই বা বলতে পারবে! আসলাম সাহেবের তিন মেয়ে, দুই ছেলে, সবগুলোই যে তারই ঔরসজাত, তারও কি প্রমাণ আছে নাকি? তবে, মহুয়ার গর্ভজাত সন্তান তাতে বোধ হয় কোন ভূল নেই। সেই গর্ভজাত সন্তানদের সামনেও যৌন বেদনায় ভরা পোষাকে থাকা মহুয়াকে দেখে, ছেলেমেয়েদের মনে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাতো আর সিকদার অনি জানেনা। সিকদার অনি তার ভক্তদের দাবীর কারনেই সংসদে জাতীয় নগ্ন দিবস সংক্রান্ত বিলটি পাশ করিয়েছে। তাদের দলে যে মহুয়াও ছিলোনা, তাই বা নিশ্চিত করে কিভাবে বলা যায়!
ছেলেমেয়েরা বোধ হয় মা বাবাকেই অনুসরন করে থাকে। তাই, আসলাম সাহেবের প্রতিটি ছেলেমেয়ের মাঝেই কম বেশী যৌন চেতনার প্রভাবগুলো রয়েছে। অনেকেই পারিবারিক মূল্যবোধের কথা বললেও, এই ধরনের পরিবারগুলোর ভেতরের খবর কতজনই বা রাখে! দেখা যাক, জাতীয় নগ্ন দিবসটি শুরুর পর্যায়ে, আসলাম সাহেবের পরিবার সদস্যরা কে কি করে?
২০০১০ সাল। ২৮শে এপ্রিল দিবাগত রাত, বারোটা বাজতে কয়েক সেকেন্ডই বোধ হয় বাকী। আসলাম সাহেবের মেঝো মেয়ে মলি অতি আনন্দিত হয়েই কাউন্ট ডাউন করতে থাকলো, বারোটার কাটা মিলানোর জন্যে। দশ, নয়, আট!
মলির বয়স উনিশ। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে মাত্র। সে ঠিক তার মায়ের চেহারাই শুধু নয়, চরিত্রটাও মায়ের মতোই পেয়েছে। যে সব পোষাকে ইউনিভার্সিটিতে যায়, তা দেখার জন্যেই ছেলের দলগুলো বিভিন্ন পথে জটলা বেঁধেই অপেক্ষা করে একটি নজর শুধু মলির সেই সেক্সী ভাবটা দেখার জন্যে! ঘরেও তখন মলির পরনে সেক্সী স্লীভলেস স্কীন টাইট সাদা টপস আর হাটু পর্যন্ত লম্বা স্কীন টাইট কালো প্যান্ট! এমনিতেই তো তাকে কম সেক্সী লাগছিলো না। তার চাইতে এক বছর বয়সে বড় শরীফ তো সেই মলির স্কীন টাইট টপসের উপর দিয়ে ফুটে থাকা বাতাবী লেবুর মতো বক্ষ দুইটাই উপভোগ করছিলো। আর সেই মলির সাথেই কন্ঠ মিলিয়েই সবাই কাউন্ট ডাউন করতে থাকলো, সাত, ছয়, পাঁচ!
আসলাম সাহেবের সর্ব কনিষ্ঠ কন্যা কলি। বয়স পনেরো। ক্লাশ নাইনে পড়ে। স্কুলে সাধারন স্কুল ড্রেসে গেলেও, এত বড় ধীংগি মেয়ের বাড়ীর পোষাক হলো সাধারন নিমা আর কিশোর ছেলেদের মতোই হাফপ্যান্ট! কিশোর ছেলেদের হাফপ্যান্টগুলা বোধ হয় খানিকটা লম্বাই হয়। তবে, কলির হাফপ্যান্টগুলো অত লম্বা নয়, নিম্নাংগটা কোন মতে ঢেকে রেখে, ফর্সা ফোলা দুটো উরুই শুধু যথেষ্ট প্রকাশিত থাকে। আর নিমার আড়ালে যে, কৎবেলের মতোই বড় বড় দুটো স্তন আছে সেটা অনুমান করা কারো পক্ষেই কষ্টকর হয় না। সেই কলি, তার পরনের টিয়ে রং এর নিমার নীচ দিককার প্রান্তটা খানিকটা টেনে ধরে রেখেই গুনতে থাকলো, চার, তিন, দুই!
এক বলার সাথে সাথেই বারোটা বেজে গেলো। কলিই প্রথম তার পরনের নিমাটা খোলে ফেলে খিল খিল করে হাসতে থাকলো। সেই সাথে মহুয়াও তার পরনের একমাত্র পোষাক পাতলা নাইলনের গাউনটা খোলে ফেললো। সবার চোখ তখন কলির চমৎকার কৎবেলের মতো সুঠাম কঁচি দুইটা বুকের দিকে আর মহুয়ার ভরাট নারকেলের মতোই ভারী দুটো স্তনের দিকে। কলি অবাক হয়ে বললো, কি ব্যাপার? সবাই আমার দিকে তাঁকিয়ে আছো কেনো? তোমরা কেউ নগ্ন হচ্ছো না যে!
আসলাম সাহেবের ছোট ছেলে আরিফ। বয়স সতেরো, কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। কলির সদ্য ফুটা পুস্পের মতো তাজা তাজা দুটো সুঠাম বক্ষ দেখে, তার নুনুটা সটান হয়ে ছিলো ট্রাউজার এর ভেতর! সে তার পরনের টি শার্টটা খুললো ঠিকই। তবে, ট্রাউজারটা খুলতে ইচ্ছে করলোনা। খানিকটা লাজুকতা গলাতেই বললো, আমার লজ্জা করছে!
মলি বললো, তাই তো! এতক্ষণ গুনাগুনিটা আসলে কেনো করলাম! আমারও তো মনে ছিলো না। কিন্তু কোনটা আগে খুলবো?
আসলাম সাহেব বিরক্তই হতে থাকলো! সে ন্যাংটু না হবার জন্যেই সবার সাথে মিলিয়েই কাউন্ট ডাউন করেছিলো, যদি উল্টুটাই হয়! অথচ, ছোট মেয়ে কলি যেমনি নিমাটা খোলে ফেললো, মহুয়াও তেমনি পুরুপুরি ন্যাংটুই হয়ে গেলো! আসলাম সাহেব বোকা বনে গিয়েই বললো, তাহলে তোমরা ন্যাংটু হবেই!
মলি বললো, হবোই তো! না হলে, এত রাত জেগে অপেক্ষা করলাম কেনো?
এই বলে মলি তার পরনের স্কীন টাইট সাদা টপসটা গলার উপর দিয়ে টেনে খুললো। কি চমৎকার বাতাবী লেবুর মতোই গোলাকার মলির বক্ষ যুগল! শরীফ ফ্যাল ফ্যাল করেই তাঁকিয়ে রইলো মলির বুকের দিকে! সে আর তার আনন্দ ধরে রাখতে না পেরে বললো, মারভেলাস!
শরীফের মন্তব্যে, আসলাম সাহেবের বড় মেয়ে জলির বোধ হয় খুব হিংসেই হলো! সে আর দেরী না করে, তার পরনের সাধারন কামিজটাও খোলার উদ্যোগ করতে থাকলো। আসলাম সাহেব আহত হয়েই বলতে থাকলো, মা জলি, তুমি না জাতীয় নগ্ন দিবস বয়কট করবে বলেছিলে!
জলি তার পরনের কামিজটা পুরুপুরিই খুলে ফেলে, তার চমৎকার সুদৃশ্য ঈষৎ আমের মতোই লম্বাটে বক্ষ যুগল প্রদর্শন করে বললো, আর পারলাম কই!
একুশ বছর বয়সের বড় বোন জলির প্রতি সতের বছর বয়সী আরিফের একটা বাড়তি আকর্ষন ছিলো বরাবরই। সে বললো, বড় আপু, তোমার দুধ গুলো সত্যিই অসাধারন!
প্রশংসা শুনে কারই না ভালো লাগে! জলি আনন্দে গদ গদ হয়ে বললো, তাহলে ভাইয়া তোমরাও ন্যাংটু হয়ে যাও!
নগ্ন হবার ব্যাপারে মেয়েরা যতটা আগ্রহী, ছেলেরা বোধ হয় ঠিক উল্টুই। মেয়েরা যত সহজে, নিজেদের দেহের সুন্দর সুন্দর অংশ গুলো প্রদর্শন করতে আগ্রহী থাকে, ছেলেদের বেলায় নুনু প্রদর্শন করার পায়তারা খুব একটা থাকে না। আরিফ আবারও বললো, আমার খুব লজ্জা করছে।
মলি আরিফের চাইতে দু বছরের বড়। সে রাগ করেই বললো, তুই একটা পিচ্চি পোলা, তোর আবার লজ্জা কিসের!
কলেজে পড়া আরিফও কম গেলো না। সেও রাগ করে বললো, আমাকে রাগাবে না বলে দিলাম। আমি পিচ্চি পোলা না। এখন কলেজে পড়ি! অনেক বড় হয়েছি!
কলি বললো, তাহলে ভাইয়া দেখিয়েই ফেলো না, তোমার ওটাও কত বড় হয়েছে!
আরিফ ইতস্ততঃ করতে থাকলো। কবি কবি ভাব, বিশ বছর বয়সের শরীফ তার পরনের টি শার্টটা খুলে ফেলে, ট্রাউজারটাও খুলে ফেলার উদ্যোগ করতে করতে বললো, খুলে ফেলো ভ্রাত! খুলে ফেলো সব, যত আছে গায়ে, পোষাকের আবরণ!
শরীফ তার ট্রাউজারটাও খুলে ফেলতেই, বেড় হয়ে থাকা দীর্ঘ লৌদন্ডের মতো খাড়া হয়ে থাকা লিংগটা দেখে, কলি চিৎকার করে উঠলো, ওয়াও!
মলি কলিকে লক্ষ্য করে বললো, কি ব্যাপার? ভয় পেয়ে গেলে নাকি?
কলি আমতা আমতা করেই বললো, না মানে, নুনু যে এত বড় হয়, জানাই ছিলো না!
আরিফের জেদটা বোধ হয় তাতে করেই বাড়লো। সে আর দেরী করতে পারলো না। সেও তার পরনের ট্রাউজারটা খুলে ফেললো! সবার চোখ তখন আরিফের দাঁড়িয়ে থাকা নুনুটার দিকেই পরলো। জলিই প্রথম বললো, বাহ, তুমি তো সত্যিই অনেক বড় হয়েছো! না দেখলে বুঝতেই পারতাম না!
মহুয়া পুরোপুরি নগ্ন দেহে, ওপাশের সোফাটায় পায়ের উপর পা তুলে বসেই, সম্রাজ্ঞীর মতোই ছেলেমেয়েদের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করছিলো। আর এপাশে মদনের মতোই বিরক্তিকর চেহারা করে, বসে ছিলো আসলাম সাহেব! মহুয়া ওপাশ থেকেই উঁচু গলায় আসলাম সাহেবকে লক্ষ্য করে বললো, তুমি অমন মদন হয়ে বসে আছো কেনো? সবাই মজা করছে, তুমিও মজাটা নাও। ঐ গাউনের তলায় কি আছে না আছে, সবাইকে একটু দেখাও!
পাগলা গারদে পাগল দেখতে দেখতে নাকি অনেক ডাক্তার নার্সও পাগল হয়ে যায়! চোখের সামনে, নিজ পরিবারের সবাইকে এমন পাগলামী করতে দেখে, আসলাম সাহেবের মাথাটাও আর ঠিক রইলো না। সে কোন কথা বললো না, তবে পরনের গাউনটা খুলে মেঝেতেই ছুড়ে ফেললো!
আসলাম সাহেব ছোটকাল থেকেই যৌন বিলাসী মানুষ। আর তাই মহুয়ার মতো এমন একটি যৌন বেদনাময়ী মেয়েকেই বিয়ে করেছিলো! সেই কল্যানেই যৌন বেদনাময়ী তিনটি মেয়ের বাবাও হতে পেরেছিলো। তাই বলে, সিকদার অনির একটা সিদ্ধান্তে, সেই যৌন বেদনাময়ী কন্যাদেরও নগ্ন দেহ দেখতে হবে স্বপ্নেও ভাবেনি! সে খুব কৌতুহলী হয়েই তার আদরের কন্যা গুলোর চমৎকার চমৎকার নগ্ন বক্ষ গুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকলো।
আরিফ জলিকে লক্ষ্য করেই বললো, বড় আপু, আমি তো সব দেখালাম, তুমিও স্যালোয়ারটা খুলে ফেলো!
জলি বললো, না, আগে মলি খুললে!
মলি বললো, আমি? না, আগে কলিই খুলোক। কারন ও ই প্রথমে তার নিমাটা খুলেছিলো!
কলি খুব স্বাভাবিক গলাতেই বললো, আমার আপত্তি নেই!
এই বলে কলি তার পরনের অপেক্ষাকৃত ছোট হাফপ্যান্টটা খুলতে শুরু করলো। হাফ প্যান্টের তলায় ছিটের একটা প্যান্টিও ছিলো। সে সেটাও খুলে ফেললো, এক টানে! সবার নজর গেলো কলির নিম্নাংগের দিকেই। হুম, চমৎকার যোনী কলির! কেশগুলো খানিকটা পাতলা হলেও, সুদৃশ্য! নজর কাঁড়ার মতোই। শরীফ কবি কবি ভাব নিয়েই বলতে থাকলো, ঐ কালো কেশে রাখিয়া নয়ন, উদাস করিলো মন!
মলির যেনো হিংসেই লাগতে থাকলো, শরীফের কাব্য শুনে! সে তার পরনের হাঁটু পর্যন্ত দীর্ঘ টাইট কালো প্যান্টটা খুব কষ্ট করেই টেনে টেনে নীচে নামাতে থাকলো। হালকা গোলাপী প্যান্টিটা প্রকাশিত হতেই আসলাম সাহেবের চোখ ছানা ভরা হয়ে গেলো! কেনোনা, মলির নগ্ন উরু দুটোই নুনু খাড়া করিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট!
মলি তার পরনের সেই প্যান্টিটাও খুলে নিলো। মলির নিম্নাংগ দেখে শরীফের কাব্যও থেমে গেলো! সে হা করেই তাঁকিয়ে রইলো মলির যোনী দেশটার দিকে। এত সুন্দর যোনী হয় নাকি? আর এত সুন্দর ঘন কালো, কুকড়ানো কেশ! আর সেই কেশ গুচ্ছের আড়াল থেকেই ঈষৎ চুপি দিয়ে থাকা সেই যোনী ঠোট! মলি মজা করেই বললো, কি হলো ভাইয়া? তোমার কাব্য কোথায় গেলো?
শরীফ সম্ভিত ফিরে পেয়ে বললো, কি করে বলিবো আমি, কৃষ্ণকলির কাছে! নয়ন জুড়াইয়া যায়, বলিবার কি আছে!
শরীফের কাব্য শুনে জলির মেজাজটাই খারাপ হলো। সে মন খারাপ করে, সোফায় আরিফের পাশেই ধপাস করে বসলো। জলির ধপাস করে বসার সময়, তার চমৎকার লম্বাটে বক্ষ যুগলের দোলন দেখে, শরীফের কাব্য শুরু হলো আবার! সে জলির দিকে তাঁকিয়ে তাঁকিয়েই বলতে থাকলো, আমের দোলন দেখেছিনু গাছে! হার মানে সব, ঐ দোলনের কাছে!
জলির মনটা সাথে সাথে মুগ্ধ হয়ে উঠলো। তরপরও সে মন খারাপ করে বললো, আসলে, আমি কামিয়ে ফেলেছি! এই জন্যেই স্যালোয়ার খুলতে ইচ্ছে করছে না!
পাশে বসা আরিফ মজা করেই বললো, তার মানে বেল মাথা!
জলির কি হলো বুঝা গেলো না! সে আরিফের নুনুটার ডগায় টুকা দিয়ে বললো, তোমার মতো ওরকম একটা মাথা থাকলে বেল মাথা বলা যেতো! আমার ক্ষেত্রে বলা যাবে, সাহারার মরুভুমি!
আরিফ বললো, বড় আপু, আমার কিন্তু খুবই দেখতে ইচ্ছে করছে, কামানো ভোদা দেখতে কেমন!
জলি আরিফের নুনুটা খানিকটা মুঠি করেই ধরলো। খানিকটা নেড়ে চড়েই বললো, তবে নুনুটাকে সাবধানে রাখবে।
জলি আরিফের নুনুটাকে মুক্ত করে, নিজের পরনের স্যালোয়ারটা খুলতে থাকলো।
জলি তার স্যালোয়ারটা খুললো ঠিকই, তবে নিম্নাংগের কেশ গুলো কামিয়ে ফেলার জন্যে লজ্জিত একটা চেহারা করে, উরু দুটো চেপে ধরেই সোফায় জড়োসড়ো হয়ে বসলো মাথাটা নীচু করে। তার সবচেয়ে ছোট ভাই আরিফ কৌতুহল সামলাতে না পেরে, ঘাড় বাঁকিয়ে জলির নিম্নাংগটা দেখার চেষ্টা করছিলো। জলি রাগ করার ভান করেই বললো, এসব হচ্ছে কি?
শরীফ কাব্য শুরু করে দিলো, প্রতিদিন কত খোঁজাখোঁজি করি, সুন্দর কিছু যদি দেখিবার পারি! দেখা হয় নাই তবু, মোদের ঘরেই আছে! জলি আপুর যোনীর উপর মিষ্টি মাখন আছে!
জলি শরীফকে লক্ষ্য করেও বললো, দেখো শরীফ, খুব ভালো হচ্ছে না কিন্তু!
মলি বললো, শরীফ তো ঠিকই বলেছে। তোমার কামানো যোনী দেখে তো আমারও কামিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে!
আরিফ বললো, ছোট আপু, তুমিও কামিয়ে ফেলো তাহলে!
কলি বললো, না বাবা, কামানো যোনী আমার ভালো লাগে না। মলি আপু, প্লীজ! তোমার অত সুন্দর কেশগুলো কখনোই কামাবে না।
জলি খানিকটা মন খারাপ করেই বললো, সহজভাবেই বললেই তো পারো যে, আমাকে দেখতে খুব বিশ্রী লাগছে।
পাশে বসা আরিফ বললো, বড় আপু, তুমি কলির কথায় কান দেবে না তো? আসলে, এক একেক জনের দৃষ্টি ভংগী এক একেক রকম।
কলি আরিফকে লক্ষ্য করে বললো, তুমি তো ও কথা বলবেই। তুমি তো বড় আপু ছাড়া কিছুই বুঝো না! পারলে বড় আপুকে বিয়েই করে ফেলো!
ছেলেমেয়েদের কথা শুনে মহুয়া খুব আনন্দই পাচ্ছিলো। তবে, আসলাম সাহেবের বিরক্তির সীমানা রইলো না। সে রাগ করেই বললো, ভাইবোনে এসব কি আলাপ হচ্ছে? ভাইবোনে কখনো বিয়ে হয় নাকি?
মহুয়া ওপাশ থেকেই বললো, আহা ছেলেমেয়েরা মজা করতে চাইছে, করুক না! মুখে বললেই তো আর কেউ কাউকে বিয়ে করছে না! তোমার ভালো না লাগলে, ঘুমিয়ে পরছো না কেনো? রাত তো আর কম হয়নি!
আসলাম সাহেব বিরক্ত হচ্ছিলো ঠিকই, কিন্ত এমন একটা পরিবেশ ছেড়ে শোবার ঘরে যেতে ইচ্ছেও হলো না। সে চুপচাপই বসে রইলো। নীরব দর্শকই হয়ে রইলো।
কলির কথাটা খারাপ লাগেনি আরিফের কাছে। বড় আপু জলিকে তার সত্যিই ভালো লাগে। খানিকটা লম্বাটে চেহারা, ঠোট যুগল ঈষৎ ফুলা ফুলা। চুমু দেবার জন্যে উপযুক্ত দুটো ঠোট! বড় বোন বলে সে ব্যাপারে কখনো ভাবেনি ঠিকই, তবে মাঝে মাঝে যে স্বপ্নে বিভোর হয়নি তাও কিন্তু নয়। জলি যদি তার বড় বোন না হয়ে, অন্য কোন মেয়ে হতো, তাহলে হয়তো প্রেমের প্রস্তাবটা দিয়ে দিতেও ভুল করতো না। আর, এই মুহুর্তে সিকদার অনির জাতীয় নগ্ন দিবসের কল্যানেই হউক, পাশাপাশি তেমনি একটি মায়াবী বড় বোন নগ্ন দেহে তার পাশেই বসা। তার সেই বড় আপুটির নগ্ন দেহটা দেখে, রোমাঞ্চতাতেই মনটা ভরে উঠলো তার। সেই সাথে আনন্দে নুনুটা তার এক প্রকার লাফাতেই থাকলো। ব্যাপারটা পাশে বসা জলির চোখেও পরলো। জলি আরিফের নুনুর ডগাটা দু আঙুলে টিপে ধরে, নেড়ে নেড়ে বললো, কি ব্যাপার! কলির কথা শুনে মনে হয়, আনন্দেই লাফিয়ে উঠছে। বাবা ঠিকই বলেছে, ভাইবোনে বিয়ে হয়না। তাই তোমার নুনুটা সাবধানে রাখো।
মলি বলে উঠলো, আপু, তুমি যেভাবে বারবার আরিফের নুনুটা খামচে ধরছো, আমার তো মনে হয় তোমার মতলব খারাপ!
জলি এবার আরিফের নুনুটা মুঠি ধরে নিয়েই বললো, মতলব খারাপ হবে কেনো? ছোট ভাইয়ের নুনু আমি ধরতে পারি না?
কলি বললো, তা নিশ্চয়ই পারো! কিন্তু, ক্রেইজী হয়ে পরলে কি করবে?
মলি বললো, আজ রাতে যদি আমরা সবাই ভাইবোনের সম্পর্কটা ভুলে যাই, তাহলে কেমন হয়!
তারপর, মহুয়ার দিকে তাঁকিয়ে বললো, মা, তোমার কি মনে হয়?
মহুয়া বললো, আমার তো ভালোই লাগছে। কিন্তু, তোমাদের বেরসিক বাবা, মুখটা কেমন করে রেখেছে, দেখো?
মলি এবার জলিকে লক্ষ্য করেই বললো, আপু, তোমার মতামত কি? তোমার কথা তো বাবা কখনো ফেলতে পারে না। একবার বাবাকে বলে দেখো না!

r

r